themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান ও মধ্যপন্থী ভোটারদের আস্থা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। এই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার তিনি উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতা এবং সাবেক কংগ্রেস সদস্য লিজ চেনির সঙ্গে বৈঠক করবেন। ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে উইসকনসিনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যার ফলাফল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
গত মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ডিক চেনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের জন্য একটি বড় হুমকি বলে আখ্যা দিয়ে, কমলার পক্ষে অবস্থান নেন। তাঁর মেয়ে, সাবেক কংগ্রেস সদস্য লিজ চেনিও একইভাবে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছেন। রিপাবলিকান পার্টিতে এ দুই প্রভাবশালী নেতা ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন, বিশেষত ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মানতে ট্রাম্পের অস্বীকৃতি এবং ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল হামলার বিষয়ে তার ভূমিকা নিয়ে।
এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কড়া প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে উইসকনসিনের মতো দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের আস্থা অর্জন করা কমলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রিপাবলিকান ও মধ্যপন্থী ভোটারদের আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করলেও, তাকে সাবধান থাকতে হবে যেন নিজের মূল সমর্থকদের অসন্তুষ্ট না করেন।
কমলা ইতিমধ্যে বেশ কিছু নীতিগত ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা থেকে ডানপন্থার দিকে ঝুঁকেছেন। এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন, অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা, এবং জ্বালানি খরচ কমানোর জন্য বিশেষ নীতিমালা গ্রহণের বিষয় উল্লেখযোগ্য। তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, তিনি রিপাবলিকানদের মধ্যে পর্যাপ্ত সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হচ্ছেন না।
রয়টার্সের একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে কমলা ট্রাম্পের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। তবে মাত্র ৫ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার তাকে সমর্থন করেছেন এবং ১০ শতাংশ বলেছেন, তারা অন্য বিকল্প প্রার্থী বিবেচনা করছেন।
লিজ চেনির সঙ্গে আজকের বৈঠকে কমলা হ্যারিস তার রক্ষণশীল নীতির জন্য চেনির প্রশংসা করতে পারেন এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন।