বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজকে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে, তাদের প্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে আগামীতে সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করবে বিএনপি।
সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমরা একটি পর্যায় অতিক্রম করে এসেছি। যে পর্যায়টা ছিল স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে দেশের মানুষকে মুক্ত করা। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে বলেই সকল বিপদ কেটে যায়নি। এখনো সামনে বিপদ আছে। আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের দেশ গড়ে তুলতে হবে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দেশকে সামনে নিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে একটি সম্ভাবনাময় দেশ, একট সম্ভাবনাময় জাতি হিসেবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই সকল কিছু হয়ে যায় না। রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামেও জয়যুক্ত হতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের আন্দোলনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
আরও বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, ইসমাইল হোসেন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া, আমিনুল ইসলাম আশফাক প্রমুখ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পদক মাজহারুল ইসলাম। সমাবেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কিশোরগঞ্জের শহীদ ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।