বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে প্রশাসনে আওয়ামী প্রেতাত্মারা পতিত স্বৈরাচার পুনর্বাসনে ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে প্রশাসনকে আওয়ামী প্রেতাত্মামুক্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এরা স্বৈরাচার মুক্ত পরিবেশ ও গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন এমরান সালেহ প্রিন্স।
নেতাকর্মীদের প্রতি আওয়ামী প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে যারা বেঈমানী করবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
প্রশাসন আওয়ামী মুক্ত করতে ধীরগতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে প্রশাসন চরমভাবে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। তাদের বহাল রেখে ছাত্র-গণ বিপ্লবের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করা যাবে না। বরং এরা পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি অবিলম্বে প্রশাসনে আওয়ামী আমলে নিয়োগকৃতদের অপসারণের আহ্বান জানান।
প্রিন্স বলেন, এরা আওয়ামী স্বৈরাচারের বেনিফিশিয়ারী। ছাত্র-গণ হত্যার সহযোগী। এদের বহাল থাকলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হতে বাধ্য। এই সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত। এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।
হালুয়াঘাট পৌর শহরের অগ্রযাত্রা কনভেনশন সেন্টারে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু হাসনাত বদরুল কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, বিএনপি নেতা কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান, অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন, মোরশেদ আলম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান মন্ডল, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সুজন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর, যুবদল নেতা মোতালেব হোসেন, মির্জা রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।