গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বিপ্লবের পর বিভিন্ন দেশে সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। বাংলাদেশের যে সংবিধান তা মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা দিতে পারেনি, তাই নতুন করে সংবিধান পরিবর্তন করলে আমাদের আপত্তি নেই।’
আজ শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণঅধিকার পরিষদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে আইনজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আইনজীবী অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে নিয়ম থাকা উচিত। আদালতকে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন করা উচিত নয়। বিচারবিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার যে কথা আমরা বলি, তা নিশ্চিত করতে হবে। জেলায় জেলায় নিরপেক্ষ লোককে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।’
‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার সুযোগ পেয়েছি, এখন সময় এসেছে দেশকে সংস্কার করার। বিভিন্ন সময় দেশের মানুষ জীবন দিয়েছে কিন্তু দেশের গুণগত পরিবর্তন হয়নি। এই জাতি তো বারবার জীবন দেবে না, তাই এখন সময়কে কাজে লাগাতে হবে।’
নুর বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা কোটা আন্দোলন করেছি, চাইলে আমরা চাকরিতে ঢুকে যেতে পারতাম। আমরা যখন দেখেছি কোটাকে সংস্কার করে লাভ নেই, রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে এ রকম শতসহস্র অনিয়ম সেগুলো সংস্কার করবে কারা? জাতির সামনে সে রকম নেতৃত্ব নেই। সেজন্য আমরা রাজপথ থেকে উঠে এসে রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। দল ঘোষণার এক বছরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সব শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন পেয়েছি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম আজকে সফল হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘তরুণ, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশ নতুনভাবে বিনির্মাণ সম্ভব নয়। ৫৩ বছরেও যারা পারেনি, তারা সামনেও পারবে কি না সেটা নিয়ে জনগণের সংশয় আছে। নবগঠিত আইনজীবী অধিকার পরিষদকে বলব, আপনারা তৃণমূল পর্যায়ে যাবেন। আইনজীবী অধিকার পরিষদের মূল কাজ হবে সুবিচার নিশ্চিত করা।’
এ সময় অ্যাডভোকেট গোলাম সওয়ার জুয়েলকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকীকে সদস্যসচিব করে বাংলাদেশের আইনজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা করেন নুরুল হক নুর।