লিবিয়া থেকে ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা সবাই লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় বুরাক এয়ারের চাটার্ড ফ্লাইট যোগে দেশে এসে পৌঁছান এই অভিবাসীরা।
আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও লিবিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে ফিরে আসার পর ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা। এ সময় আইওএমের পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে বাড়ি ফেরার খরচ বাবদ ৬ হাজার টাকা ও কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার দেয়া হয়। এছাড়া মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজন অনুসারে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশিদের খোঁজ খবর নেন। তারা যেন বাড়িতে ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করেন সেই পরামর্শ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া অন্য বাংলাদেশিদেরও দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরই ধারাবহিকতায় খুব শীঘ্রই অনিয়মিত অভিবাসীদের লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই ১৫০ জন ছাড়াও তিউনিশিয়া থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪ জনকে এবং ৬ সেপ্টেম্বর ১৮ জনকে ও একই দিনে ত্রিপোলির বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৫৪ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ নিয়ে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে ৩২৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হল।