themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলা এবং বিস্ফোরক আইনে করা দু’টি মামলাসহ চারটি মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর জামিন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল। আবদাল বলেন, আসামিপক্ষ জামিন আবেদন করলে আমরা বিরোধিতা করি। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বাবরের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে সিলেটে চারটি মামলা ছিল। শুনানির পর ওই চারটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে। যার মধ্যে কয়েকটিতে সাজাও হয়েছে। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবদীন বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন শুনানির আবেদন করেছিলেন আইনজীবী। পরে আদালতের বিচারক ১১ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই বোমা হামলায় এক যুবলীগকর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় এসআই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ বাবর-আরিফুল-গৌছসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোণা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়। লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কারাগারেই রয়েছেন।