themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছে গণ অধিকার পরিষদ। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহ চলমান পরিস্থিতিতে গণ অধিকার পরিষদের ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
গণ অধিকার পরিষদের প্রস্তাবগুলো হলো :
১. পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের পথ বন্ধ করে নিরপেক্ষ কাজের পরিবেশ তৈরি করা এবং নিয়োগ, পদোন্নতিসহ তদারকিতে ‘স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন’ গঠন করা।
২. ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, গুলি চালানো সন্ত্রাসী এবং গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
৩. আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ।
৪. পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও পুলিশকে দলীয়করণ করাসহ দুর্বৃত্তায়নে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং দলবাজ, অসৎ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা।
৫. চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও নির্বিঘ্নে-নিরাপত্তার সঙ্গে কাজ করাসহ দ্রুত সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গুরুত্বপূর্ণ মেট্রোপলিটন ও জেলা শহরের প্রতি থানায় ১০ জন করে সেনা সদস্য নিয়োগ করা।
স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কমিউনিটি পুলিশিংকে সক্রিয় করার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়মূলক প্রগ্রাম গ্রহণ।
৬. পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশনসহ পুলিশের সর্বস্তরের ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত করে জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। পুলিশের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ভাতাসহ মাঠ পর্যায়ের টহল পুলিশের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট প্রদান। থানা/উপজেলা পর্যায়ে অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ন্যায় পুলিশেও ক্যাডার অফিসারদের পদায়ন।
৭. পুলিশের কোনো সদস্যদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ১ মাসের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৮. সারা দেশে মাদক, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বন্ধে ছাত্র-নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে পুলিশ কর্তৃক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৯. কাজে যোগদান না করা এবং দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করা পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা। প্রয়োজনে দ্রুত সময়ে নতুন নিয়োগ।
১০. বিট পুলিশিং/কমিউনিটি পুলিশিং সিস্টেমকে আরো কার্যকর করা।
১১. ‘চাকুরি নয়, সেবা’ এই মূলনীতির আলোকে বাংলাদেশ পুলিশকে নতুন করে ঢেলে সাজানো।
১২. পুলিশিং সিস্টেমকে উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি সুশৃঙ্খল, জনবান্ধব ও দক্ষ বাহিনীতে পরিণত করা।
বৈঠকে আরো অংশগ্রহণ করেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, এরশাদ সিদ্দিকী, আরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অ্যাড. জুয়েল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান প্রমুখ।