বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দিল্লীর গ্যারান্টি নিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। এ জন্য গুম, খুন থেকে শুরু করে সবধরণের অপরাধ তিনি করে গেছেন। দেশের মানুষকে শেখ হাসিনা ক্রীতদাস করে রেখেছিলেন।
সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের যতরপুরস্থ বাসায় গিয়ে বুধবার বিকেলে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘দিল্লী এদেশের অপরাধীদের আশ্রয় দেয়, কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিল। দেশের সম্পদ লুট করে পার্শ্ববর্তী দেশের ফায়দা হাসিল করেছেন শেখ হাসিনা।’
রিজভী আরও বলেন, ‘প্রশাসনে এখনো দুর্নীতিবাজেরা রয়ে গেছে। তাদের হাতে প্রচুর টাকা। তারা যেকোনো সময় স্যাবোটাজ করতে পারে। দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাবধান হতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়।’
একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে দাবি করে দেশকে স্থিতিশীল করতে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘মুক্তচিন্তার মানুষদের হয়রানিমুক্ত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে।’ এছাড়া আরও যত কালো আইন আছে, তা এখনো বাতিল হলো না কেন- এমন প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র নেতৃবৃন্দ।