Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the themesdealer domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি : শুল্কে ‘অনিয়ম’ খুঁজতে কমিটি আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি : শুল্কে ‘অনিয়ম’ খুঁজতে কমিটি – notunalonews24

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি : শুল্কে ‘অনিয়ম’ খুঁজতে কমিটি

Reporter Name / ৩৩ Time View
Update : শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়গুলো কীভাবে সম্পাদন করা হয়েছে, তাতে কোনো ত্রুটি ছিল কি না, শুল্ক পরিহার বা প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে কি না; এমন আরও প্রশ্ন সামনে রেখে তদন্তে নামছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

এই কাজে আট কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের আদেশ জারি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম এই কমিটি অনুমোদন করেছেন। আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে কমিটির তদন্তকাজ।
ভারতের বিতর্কিত শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিনাধীন বহুজাতিক কোম্পানি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার অভিযোগ রয়েছে।

বিপুল অঙ্কের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ থাকা ধনকুবের গৌতম আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদপুষ্ট হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্থাপন করে আদানি। সেই কেন্দ্রের জন্য কয়লা কিনতে ঢাকার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে, যা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়।

এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করে আদানি দ্বিগুণ মুনাফা করছেন। নানা কারণে শেখ হাসিনার আমলে হওয়া এই ব্যয়বহুল চুক্তি বাতিলের দাবিও উঠেছে।

এমন অবস্থায় আদনির সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তিতে শুল্ক-কর বিষয়ে অনিয়ম রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অধিপ্তরের যুগ্ম পরিচালক এদিপ বিল্লাহকে। এতে একজন সদস্য সচিব ও ছয়জনকে সদস্য রাখা হয়েছে।

অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় আমলে নেওয়া হবে জানতে চাইলে এদিপ বিল্লাহ বলেন, ‌আমরা প্রথমেই আদানির সাথে হওয়া চুক্তিটি দেখব, কী ছিল এখানে।

এরপর দেখব বিদ্যুৎ আমদানি হত কোন কোন শুল্ক স্টেশন দিয়ে এবং সে ক্ষেত্রে তাদের ডিক্লারেশন (ঘোষণা) কী ছিল।

যে এইচএস কোডের মাধ্যমে আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে, সেটি কাস্টমস আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, সেটিও দেখা হবে বলে তথ্য দিয়েছেন কমিটির এই আহ্বায়ক।

এদিপ বিল্লাহ বলেন, চুক্তি দিয়ে শুরু করব। কারণ এ ক্ষেত্রে কাস্টমস আইন পরিপালন সঠিকভাবে হয়েছে কি না, দেখার আছে। রবিবার থেকে কমিটির কাজ শুরু হবে।

কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে এই অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমানকে।

কমিটি কার্যপরিধির বিবরণ অনুযায়ী, আদানির বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের নির্ধারিত মূল্য এবং তাতে শুল্ক-কর প্রযোজ্য কি না, সেটি যাচাই করা; এ পর্যন্ত আমদানি করা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক-করের পরিমাণ কত এবং তা পরিশোধ করা হয়েছে কি না এসব খতিয়ে দেখতে কমিটি।

আমদানি করা বিদ্যুতের শুষ্ক-কর মওকুফ-সংক্রান্ত কোনো চুক্তি ছিল কি না; থাকলে এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন বা আদেশ জারি হয়েছে কি না- এটিও তদন্ত করবে কমিটি।

কোন কাস্টমস হাউস বা স্টেশন দিয়ে এবং কী প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে এবং আলোচ্য পণ্যের শুল্কায়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে কোনো দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া আছে কি না; এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান এদিপ বিল্লাহ।

যদি অন্য কোনো বিষয় থাকে, যেটি শুল্ক-করের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত; তাও খতিয়ে দেখার এখতিয়ার দেওয়ার হয়েছে কমিটিকে।

এসব বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজের সুবিধার জন্য প্রয়োজন হলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: উপ-পরিচালক মুনমুন আকতার দিনা, রাজস্ব কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, রাজস্ব কর্মকর্তা পলাশ কুমার মল্লিক, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাহেদ হাসান লিমন।

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ ও ‘আদানি পাওয়ার’ এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। আদানি পাওয়ার হল বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের আদানি গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।

চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার।

আদানির বিদ্যুৎ দেশে এনে জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে বিশেষ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় দুটি সাবস্টেশন ও অন্যান্য সঞ্চালন স্থাপনা নির্মাণ করেছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-পিজিসিবি।

গত বছরের ৯ মার্চ সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে ঝাড়খণ্ডের গড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন শুরু হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri how many casibom casibom casibom
deneme bonusu veren siteler - canlı bahis siteleri - casino siteleri casino siteleri deneme bonusu veren siteler canlı casino siteleri how many casibom casibom casibom