themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন আজ রবিবার সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ১০টা) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এসব ঘটনায় মোট ৮৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর নিচে তুলে ধরা হলো :
লহ্মীপুর : জেলার ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে ৪০জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয় ও এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজগঞ্জ : এক দফা আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ জেলা শহর, রায়গঞ্জ, হাটিকুমরুল, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুরে ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য, সদরে একজন শিক্ষার্থী, দু’জন যুবদল কর্মী ও রায়গঞ্জে একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও চারজন আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক। এছাড়াও সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ও সাবেক এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বসতবাড়ী, আওয়ামী লীগ অফিস, জেলা পরিষদ কার্যলয়, রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার, ভূমি অফিস, কোর্ট চত্বরের কয়েকটি স্থাপনায় আগুন দেয়া হয়েছে।
বিভাগীয় অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) বিজয় বসাক জানান, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় এখন পর্যন্ত ১২ জন পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলমান রয়েছে। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে ১২ থেকে ১৪ হাজার দুষ্কৃতিকারী থানা ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এসব দুষ্কৃতকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের উপর জঙ্গি কায়দায় হামলা চালায়। থানার আরো অনেক পুলিশ সদস্যের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ কাজ করছে।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় রিপন শীল (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাইম আশরাফ চৌধুরী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক।
নিহত রিপন শীল হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকার রতন শীলের পুত্র। এছাড়া অন্য আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) নূরে আলম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহতের খবর শুনেছি। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে হবিগঞ্জ- ৩ আসনের এমপি আবু জাহিরের বাসভবন।
শেরপুর : শেরপুরে দুইজন আন্দোলনকারী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সংঘর্ষ, জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
নিহত দুইজন শিক্ষার্থী হলেন মাহবুব ও রবিউল ইসলাম তুষার। জানা গেছে, জেলার গোডাউন মোড়ে পুলিশের দ্রুতগতির গাড়ি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর উঠিয়ে দিলে মাহবুব ও তুষার মারা যান।
নরসিংদী : নরসিংদীতে ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। জেলার মাধবদীতে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন জেলার সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান ও ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহীন।
ঢাকা : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতা এবং আরেকজন শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতার নাম আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন।
ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী (২৩)। তিনি রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে আব্দুল্লাহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদিকে, বিকালে গুলিস্তান থেকে জহির উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি কুমিল্লায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
অন্যদিকে, সাভারের আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে দিকে নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহমেদুল হক তিতাস। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে আনুমানিক ২৫ বছরের একজনকে নিয়ে আসেন ৪ যুবক। নিহতকে হাসপাতালে রেখে তারা চলে যান। নিহত ওই যুবককে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জয়পুরহাট : রবিবার দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জয়পুরহাট শহর। সংঘর্ষে মেহেদী হাসান নামে এক আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামসুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বগুড়া : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ও সরকারের পদত্যাগের একদফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন স্থান অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় । এসব ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ২জন বগুড়া সদর ও একজন দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
নিহত পাঁচ জনের মধ্যে একজন মুনিরুল ইসলাম মনির (২২) তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকার বাসিন্দা। অপরজন জিল্লুর রহমান (৪৫) তিনি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া দিনাজপুরের হিলির সেলিম (৪৫) নামের একজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সে বগুড়ার হরিগাড়ি এলাকায় বসবাস করতো। অজ্ঞাত আরো দুই জন মারা গেছেন।
মুন্সিগঞ্জ : মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
রবিবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. আবু হেনা জামাল। তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দু’জন মৃত ছিল। তাদের বয়স ২২-২৫ বছর। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রংপুর : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আওয়ামী লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মহানগরের পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে নগরীর সিটি বাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। নিহত পাঁচজনই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
মাগুরা : মাগুরায় বিএনপি ও ছাত্রদলের সাথে পুলিশের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। মাগুরা শহরে ২ জন ও মহম্মদপুর উপজেলায় ২ জন নিহত হয়েছে। এ সময় পুলিশসহ দেড়শতাধিক আহত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে শহরের পারনান্দুয়ালী-ঢাকারোড এলাকায় বিক্ষোভকারীরা অতর্কিতে পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালালে জেলা ছাত্রদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি (৩০) নিহত হয়। দুপুরে আবারো বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে ফরহাদ হোসেন (২৯) নামে এক যুবদলকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এছাড়া মহম্মদপুর উপজেলায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সুমন শেখ (২০) ও আহাদ বিশ্বাস (২২) জন নিহত হয়েছে। এসব মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
পাবনা : অভিযোগ উঠেছে পাবনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিল থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর চালানো গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার পাবনার খেয়াঘাট মোড়ে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মিছিল থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। এরপর বিক্ষোভকারীরা এক আওয়ামী লীগ নেতার গাড়ি এরপর গাড়ি পুড়িয়ে দেন।
কুমিল্লা : কুমিল্লায় ব্যাপক সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও এক আন্দোলনকারী যুবক রয়েছেন। রবিবার দুপুর দেড়টায় দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে যুবক আব্দুল রাজ্জাক রুবেল (২৬) নিহত হন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত রুবেল দেবিদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান।
এদিকে, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের এরশাদ আলী নামের এক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
বরিশাল : বরিশালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম টুটুল চৌধুরী (৬০)। তিনি বরিশাল মহানগরীর ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। রবিবার দুপুরে হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী : ফেনীতে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আট আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলা সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। ফেনী ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট : সিলেটের গোলাপগঞ্জে গুলিতে পৃথক স্থানে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দুজন ও এর আগে ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় একজন নিহতের ঘটনা ঘটে।
দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শাহিন আহমদ। তারা হলেন- ধারাবহর গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩) ও উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮)। এর আগে, সংঘর্ষকালে গুলিতে নাজমুল ইসলাম নামে একজন নিহত হন। তিনি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে ব্যাপক সংঘর্ষে ৫ নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সৈয়দ টিটুর বাসায় দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দুজন। এছাড়া এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জে আন্দোলনকারী একজন স্ট্রোক করে এবং বাজিতপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন একজন।
ভোলা : ভোলায় আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে। পরে তারা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ কার্যালয় জ্বালিয়ে দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, ভোলা সদর নতুনবাজার এলাকায় সংঘর্ষের মাঝে পরে গুলিতে জসিম নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। পরে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।