একসময়ের কট্টর সমালোচক থেকে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিংমেট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন জেডি ভ্যান্স। ২০১৬ সালে ট্রাম্পকে ‘নিন্দার যোগ্য’ এবং ‘নির্বোধ’ বলে উল্লেখ করা ভ্যান্সের এখন অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন।
উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে সোমবার ট্রাম্প ভ্যান্সের নাম রানিংমেট হিসেবে ঘোষণা করেন। ৩৯ বছর বয়সী ভ্যান্স, যিনি ওহাইওর সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন ২০২২ সালে, তার রাজনীতির শুরুতে ট্রাম্পের কট্টর বিরোধিতা করেছিলেন। তবে, সময়ের সাথে সাথে তার মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে।
ভ্যান্সের জীবন কাহিনীও বেশ চমকপ্রদ। ওহাইওর মিডলটাউনে জন্ম নেওয়া ভ্যান্সের মা ছিলেন মাদকাসক্ত, আর বাবা পরিবার ত্যাগ করেছিলেন। নানা-নানির কাছে বড় হওয়া ভ্যান্স মার্কিন মেরিন সেনা হিসেবে ইরাকে কাজ করেছেন এবং ইয়েল ল স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পরে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করেন।
ভ্যান্সের জীবনের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ হলো তার লেখা বই ‘হিলবিলি এলিজি’, যা তাকে দেশজুড়ে খ্যাতি এনে দেয়। সেই সময় তিনি ট্রাম্পকে ‘আমেরিকার হিটলার’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন।
কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে ট্রাম্পের মিত্র হয়ে উঠেন ভ্যান্স এবং তার সমর্থন পেতে সক্ষম হন। ট্রাম্পের সমালোচনা করার জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
সিনেটর নির্বাচিত হওয়ার পর, ভ্যান্স রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ রাজনীতিতে দ্রুত উত্থান ঘটান। তিনি জনতুষ্টিবাদী অর্থনৈতিক নীতি ও ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা নিয়ে সংশয়বাদী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে কাজ করেছেন এবং অনিবন্ধিত অভিবাসীদের কাজে নিয়োগ দেওয়া প্রতিষ্ঠানের ফেডারেল সহায়তা বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্পের রানিংমেট হিসেবে ভ্যান্সের নাম ঘোষণা করা হলে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে ‘ট্রাম্পের ক্লোন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এটা নির্বাচনী প্রচারকালে ভ্যান্সকে নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে।