themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের দাবি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘তারা বলছে, সরকারি চাকুরিতে কোটায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীরা মেধার চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে এবং এর ফলে মেধা ক্যাটাগরির প্রার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিষয়টি আদৌ সত্য নয়। ৩৩তম, ৩৫তম এবং ৩৬তম—এই তিনটি বিসিএস পরীক্ষায় গড়ে প্রায় ৭২ শতাংশ প্রার্থীকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
‘সেখানে গড়ে মাত্র ২৮ শতাংশ প্রার্থী কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছে। বিগত পাঁচটি বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল। সর্বশেষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শূন্য পদগুলোতে মেধা তালিকা থেকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে দেশের কোটা ব্যবস্থাপনার প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। তারা কিছু সস্তা চিন্তার ও লোকদেখানো বিষয় উপস্থাপন করছে। তারা এমনভাবে উপস্থাপন করছে যেন কেবল কোটার অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদেরই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে অথবা সিংহভাগ নিয়োগ কোটা থেকেই দেয়া হচ্ছে।
‘বিষয়টি সম্পূর্ণ উল্টো। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই (কোটা চালু অবস্থায়) সরকারি চাকুরিতে সবচেয়ে কম প্রার্থীদের কোটা থেকে নিয়োগ দেয়া হয় (২৮%)।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে ভারতে সরকারি চাকুরিতে ৬০% কোটার ভিত্তিতে ও ৪০% মেধার ভিত্তিতে, পাকিস্তানে ৯২.৫% কোটা ও মাত্র ৭.৫% মেধার ভিত্তিতে, নেপালে ৪৫% কোটা ও ৫৫% মেধার ভিত্তিতে, শ্রীলঙ্কায় ৫০% কোটা ও ৫০% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬০% জেলা কোটা বিদ্যমান রয়েছে।
‘কোটায় অন্তর্ভুক্ত আর মেধাবী এ দুটো বিষয় যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে মনে হয় কোটার মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীরা মেধাবী নয়। তারা অবশ্যই মেধাবী। কারণ একই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা পাস করে সংবিধানের আলোকে প্রণীত সরকারি নীতি অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আধুনিক গণতান্ত্রিক উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রায় সকল দেশই দীর্ঘসময় ধরে উপনিবেশ ছিল। এই দীর্ঘ সময়ে তারা শোষণ আর নিপীড়নের কবলে ছিল। ফলে স্বাধীনতা লাভের পরও এ সকল দেশে উপযুক্ত জাতি গঠন প্রক্রিয়া, উন্নয়ন, সুযোগের সমতা ও সুষম বণ্টন এবং জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি।
‘এ কারণে রাষ্ট্রের সকল অঞ্চল, সম্প্রদায় ও শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতে সরকারি চাকুরিতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ পায়, সে বিষয়টি লক্ষ রেখে রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণীত হয়। এটিই প্রকৃত অর্থে কোটা ব্যবস্থা।’