themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালাতে পারে দেশটির অন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। গত কয়েকদিনে ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে স্থল হামলা চালিয়ে হুথিদের শক্তিশালী স্থানগুলো থেকে হটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সম্ভাব্য এ স্থল হামলার পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইয়েমেনের কয়েকজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, মধ্য মার্চ থেকে শুরু হওয়া মার্কিন বোমাবর্ষণে হুথিদের শক্তি অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। এসব বোমা হামলায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের বোমা হামলায় লক্ষ্য করেছিল রাজধানী সানা, হোদেইদা বন্দর ও হুথিদের নিয়ন্ত্রণাধীন সাদাকে। তারা ঘনবসতি এলাকাগুলোতেও বোমা ফেলেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা সত্যিকার অর্থে হুথিদের সক্ষমতা কতটা খর্ব করেছে সেটি স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নেয় হুথিরা। তাদের হটাতে যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা, ইয়েমেনি সশস্ত্র যোদ্ধা এবং সৌদি আরব-আরব আমিরাতসহ অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলো স্থল হামলা চালায়। তবে হুথিরা এগুলোর সবই প্রতিরোধ করেছে।
ইয়েমেনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের পরিকল্পনা হলো স্থানীয় যোদ্ধাদের মাধ্যমে লোহিত সাগরের হোদেইদা বন্দর দখল করা এবং হুথি যোদ্ধাদের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া। যেখান থেকে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে তারা।
হোদেইদা বন্দরটি হুথিদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। এটির নিয়ন্ত্রণ হারালে তারা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। একইসঙ্গে ইরান থেকে তাদের অস্ত্র আসার প্রধান পথটিও বন্ধ হয়ে যাবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বরাতে মিডেল ইস্ট আই মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি বাহিনী ইয়েমেনি যোদ্ধাদের এ ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছে। অপরদিকে গত কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই স্থল হামলার পরিকল্পনা উত্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা হুথিদের বিরুদ্ধে এই সম্ভাব্য স্থল হামলাকে সমর্থন জানান। তবে তারা হামলার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন না।
জ্যেষ্ঠ হুথি নেতা মোহাম্মদ আলী আল-হুথি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় তাদের কিছু হয়নি এবং তাদের বিরুদ্ধে স্থল হামলা চালালেও তা ব্যর্থ হবে।