themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা খরচ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফর এবং বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ‘ভুয়া’ ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার পেছনে ‘অর্থ অপচয়’ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
ব্রিফিংয়ে আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন।’
তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ভুয়া ডক্টরেট’ সংগ্রহ করেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, “দেশের সরকারি টাকা লবিস্ট এর পিছনে ব্যয় করে মানদণ্ড ভঙ্গ করে সংগ্রহকৃত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট হল-ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা যায় তিনি যে সকল পদক ও ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন তার প্রায় সবগুলোর পিছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক পর্যালোচনা করে কমিশন এসব বিষয় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন ‘সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর’। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে জাতিসংঘের প্রায় প্রতিটি সাধারণ অধিবেশনে সরকার প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্ক নিয়ে যেতেন ‘বিশাল বহর’।
দুদক বলেছে, শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ‘২২৭ জনের একটি দল নিয়ে’ নিউইয়র্কে ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই সংখ্যা ছিল ১৭৮ ও ২০১৩ সালে ছিল ১৩৪।
দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৮৭ সিরিজের অত্যাধুনিক উড়োজাহাজে যেতেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাটি ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এসব সফরে শেখ হাসিনা ব্যয় করেছেন প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
সেখানে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকালে হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-১৯০২) করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
“বিমানের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, সরাসরি ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক যাত্রা না করে ফিনল্যান্ডে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এই ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট অবতরণ করে। সেখানে দুই দিনের ল্যান্ডিং চার্জসহ সফরসঙ্গীদের যাবতীয় খরচ বহন করতে অতিরিক্ত সাত কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে।”
২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারের কাছে বিমানের প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে তুলে ধরা হয়েছে দুদকের নথিতে।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে দিন ভারতে পালিয়ে যান তিনি। তার পরিবারের অন্যরাও দেশের বাইরে।