themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প খাত খুবই সম্ভাবনাময়। তিনি বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
আগামীকাল শুক্রবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা খাতগুলোর মধ্যে ‘পর্যটন’ অন্যতম। পর্যটন শিল্প একটি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদ সংরক্ষণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে শক্তিশালী নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন,পর্যটন শিল্প খাত স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের মধ্যে পারস্পরিক সংস্কৃতি, ভাব ও মতাদর্শ বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়ন ও শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পর্যটন বৈদেশিক কূটনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশপাশি অর্থনৈতিক মন্দা, নিরাপত্তাহীনতা এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সমাধানেও একটি শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া, দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী ও সৌহার্দপূর্ণ করার পাশাপাশি পর্যটন শিল্প বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
এসব প্রেক্ষিত বিবেচনা করলে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবসের’ এবছরের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন শান্তির সোপান’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প খুবই সম্ভাবনাময় খাত। পরিবেশের ভারসাম্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রেখে দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে পর্যটনসমৃদ্ধ দেশগুলোর সাথে যৌথ বিপণন কর্মসূচি, পরিচিতি ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক সার্কিট স্থাপন, আন্তঃসীমান্ত পর্যটন এবং আঞ্চলিক পর্যটন উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও বিনিময়, পর্যটন তথ্য আদানপ্রদান, পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, পর্যটন উন্নয়ন ও বিকাশে কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা, ভিসা সহজীকরণ এবং ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর অবদান রাখার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।