themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির সঙ্গে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রবিবার (১৩ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের আদালত।
আদালত সূত্রগুলো বলছে, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলায় ৫৩ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আজ ওই অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। মামলার অভিযাগপত্রভুক্ত আসামি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ৫৩ জন পলাতক থাকায় আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুর্নীতির মামলা আজ আদালতে উঠছে। এসময় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। আর এটি হলে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য টিউলিপের বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের পথও প্রশস্ত করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা একই মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ যুক্তরাজ্যের নগরমন্ত্রী হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের দুর্নীতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ সামনে আসে। এতে দলের ভেতরে বাইরে চাপে পড়েন টিউলিপ। শেষমেশ লেবার মন্ত্রিসভার ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে সেটি টিউলিপকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের পথও প্রশস্ত করবে। কারণ, গ্রেফতারি পরোয়ানার পর তিনি যদি আত্মসমর্পণ না করেন তবে, বিদেশি কোনো মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হবে। এমনটি হলে নিজ ভূমিতে বিচারের জন্য ব্রিটেনের কাছে টিউলিপকে ফেরত চাইতে পারবে বাংলাদেশ।
দুদকের দাবি, রাজধানীর পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্রায় ৬০ কাঠা (এক একর) সরকারি জমি শেখ হাসিনা, তার সন্তান ও নিকটাত্মীয়দের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
টিউলিপের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, ঢাকায় তার অন্য একটি সম্পত্তি থাকার কারণে জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য ছিলেন। তবে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মকানুনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে এই মূল্যবান জমি বরাদ্দ নেন। এ জন্য তারা পাবলিক লটারি এবং যোগ্যতার মানদণ্ড এড়িয়ে গেছেন, যা মূলত সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
পূর্বাচলে প্লট বাগিয়ে নেয়ার মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে হাসিনা পরিবারেই ছয় সদস্য রয়েছে। এর আগে, শনিবার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টের কাছে ‘মিথ্যাচার’ করার অভিযোগ উঠে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরো আত্মসাতের অভিযোগে নাম আসে টিউলিপ সিদ্দিকের। এরপর খবর বের হয়, টিউলিপ লন্ডনে হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন। টিউলিপ প্রথমে অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিষয়টি সত্য বলে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে।