themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খুলনায় মশকনিধনে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় করে সিটি করপোরেশন। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মশকনিধনে আরও ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে দুই অর্থবছরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হলেও মশার উপদ্রব কমেনি। উপরন্তু দিন-রাতে মশার কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মশার অত্যাচারে ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ধর্মীয় উপাসনা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে বিদ্যমান অবস্থা থেকে উত্তরণে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গতকাল সড়কে মশারি টাঙিয়ে ও ধূপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সচেতন নাগরিকদের সংগঠন খুলনা নাগরিক সমাজ। এ সময় সংগঠনের সদস্য অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতির কারণে ড্রেনেজব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। বদ্ধ পানিতে মশার উপদ্রব বাড়ছে। মশার ওষুধ ক্রয়, সংরক্ষণ, ব্যবহারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিত জনবলকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
অপরদিকে একই সময় মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের পরামর্শ চেয়ে বৈঠক করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার। নগর ভবনের ওই বৈঠকে কনজারভেন্সি শাখা লোকবলসংকট, ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন, পানিনিষ্কাশনের খালগুলো পরিষ্কার না করায় কচুরিপানা জমে মশা প্রজনন বৃদ্ধি, কেসিসি-কেডিএ-ওয়াশা সমন্বয়হীনতায় ধীরগতি, উন্নয়নকাজে ড্রেনেজ পানিনিষ্কাশন ব্যাহত, মনিটরিংয়ের অভাবে ঠিকমতো ওষুধ স্প্রে না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। বৈঠকে নাগরিক নেতারা বলেন, মশার উপদ্রব কমাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কীটনাশক ব্যবহারসহ সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। মশা প্রজনন মৌসুম, প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিতপূর্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, লার্ভা ধ্বংস উপযোগী ওষুধ ছিটানো, ড্রেনসহ যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে সিঙ্গেল ইউজ পলিথিন বন্ধ ও পানিনিষ্কাশনে ময়ূর নদ ও সংযুক্ত খালগুলো সচল রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে কেসিসি প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার মশা নিয়ন্ত্রণে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং, ২৪ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০টি করে ওয়ার্ডে একই সঙ্গে মশার ওষুধ ছিটানো, কনজারভেন্সি শাখার কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলে নির্দেশ দেন। কেসিসি প্রশাসক চলতি রমজান মাসে ভোগান্তি দূর করতে নতুন কোনো সড়ক বা ড্রেনে খোঁড়াখুঁড়ি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য কনজারভেন্সি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।