themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114মার্কিন সরকারের নীতিতে নিজের প্রভাব রাখতে প্রেসিডেন্টদের মূল হাতিয়ার এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ। ক্ষমতা নেওয়ার পর সেই হাতিয়ার ব্যবহারে এক মুহূর্তও দেরি করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুরুতেই বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন ট্রাম্প। সব মিলিয়ে একশ’র বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ইতোমধ্যে।
সংখ্যাটা দুইশ’ পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছিল।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার আক্ষরিক বাস্তবায়ন করে দেখালেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট।
এক্সিকিউটিভ অর্ডার কী?
এক কথায় এক্সিকিউটিভ অর্ডার হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া একটি লিখিত আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলে প্রেসিডেন্ট এই আদেশ জারি করার ক্ষমতা পান।
ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা একজন প্রেসিডেন্টের ওপর অর্পিত হবে।”
নির্বাহী আদেশের বদৌলতে সাধারণ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নীতি নাটকীয়ভাবে পুরোপুরি উল্টে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এই যেমন সোমবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে জলবায়ু সংক্রান্ত আগের মার্কিন নীতির উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালে বিতর্কিত দুটি তেল পাইপলাইনের নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি, যা পূর্বসূরী ওবামা প্রেসিডেন্সির নীতিগত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
ওবামা আমলে ২০১৫ সালে ক্রিসমাস ইভে (বড়দিনের আগের সন্ধ্যা) সরকারি দফতরগুলো আধাবেলায় ছুটি দেওয়ার মতো সাধারণ সিদ্ধান্তও নির্বাহী আদেশে পাল্টে দেওয়ার নজির আছে ট্রাম্পের।
প্রেসিডেন্টরা কেন এটি জারি করেন?
কখনও কওনো যুদ্ধকালীন সময় কিংবা অভ্যন্তরীণ সংকট সামাল দিতে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়।
১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের এক নির্বাহী আদেশের মধ্য দিয়ে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার জাপানি সৈন্যের জন্য বন্দিশালা নির্মাণ করা হয়েছিল।
নিজের ১২ বছরের মেয়াদকালে তিনি তিন হাজার ৭২১টি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন।
১৯৫২ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান একটি ধর্মঘট এড়াতে ইস্পাত শিল্পকে সরকারের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে।
২০২০ সালে বাইডেন যেমন অফিসের প্রথম দিনেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে পুনরায় যোগদানের প্রক্রিয়া শুরু করার একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন। তার পূর্বসূরি ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তখন বলেছিলেন, “এটি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিপর্যয় এড়াতে সহায়তা করবে।”
অবশ্য ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই চুক্তি পরিত্যাগের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রথম মেয়াদে ২২০টি নির্বাহী আদেশ সই করেছিলেন ট্রাম্প।
জো বাইডেন তার সদ্য সমাপ্ত মেয়াদকালে ১৬০টি, বারাক ওবামা তার পরপর দুই দফা মেয়াদে ২৭৭টি এবং তার পূর্ববর্তী জর্জ ডব্লিউ বুশ ২৯১ নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন।
প্রতিহত করার ক্ষমতা আছে কার?
নির্বাহী আদেশের এখতিয়ার আইনের সীমারেখার ঊর্ধ্বে নয়। অন্তত কাগজে কলমে, প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত আইনগত পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
যদিও সবসময় এর প্রতিফলন দেখা যায় না।
কোনও আদেশ যদি গ্রহণযোগ্যতার সীমা অতিক্রম করে, তাহলে এটি আইনি যাচাই-বাছাইয়ের মুখে পড়তে পারে।
এছাড়া, কংগ্রেসের হাতে ক্ষমতা রয়েছে আইন পাসের মাধ্যমে কোনও নির্বাহী আদেশকে রুখে দেওয়ার।
কিন্তু কনস্টিটিউশন সেন্টারের ব্যাখ্যা বলছে, রাষ্ট্রপতির আবার সেই আইনের ওপর ভেটো দেওয়ার এখতিয়ার আছে।