themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ সোমবার দুই দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধে ভারতের শক্ত ভূমিকা আশা করি। বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের বিপ্লব এবং বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের প্রতি কথিত বৈরী আচরণ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ হয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা জোর দিয়ে বলেছি বাংলাদেশে বসবাসরত সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি বা অপপ্রচারের কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সরকার সরেজমিনে এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণে বিদেশি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা বলেছি, এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের মন্তব্য সহনশীল নয়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমি ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। তাই অন্যান্য দেশেরও একইভাবে আমাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখানো উচিত।
তিনি জানান, নতুন বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং গ্যাপ’ ছিল, সেটি সামনে কমে আসবে। দুই দেশের মধ্যকার বিশ্বাসের ঘাটতি কাটিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ভারতে বাংলাদেশি মিশনের নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এ সময় দেশটিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার অনলাইন বক্তব্য ঢাকা পছন্দ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে সীমান্ত হত্যা সঙ্গতিপূর্ণ নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আজকের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কাম্য নয় এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা সবসময় বলেছি যে, সীমান্ত হত্যা যেন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়। তাদের দিক থেকে তারা বলেছে, সীমান্তে নানা ধরনের অপরাধ হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব অপরাধের সংযোগ আছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা বলেছি, আমরা কোনো অপরাধ সমর্থন করি না, একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডকেও সমর্থন করি না। কাজেই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের যে কথা বলছি, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের যে অঙ্গীকার এবং রাজনৈতিক যে অঙ্গীকার হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার, সেটার বিষয়ে তারা যেন শ্রদ্ধাশীল থাকে।
দুই দেশের বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত আমাদের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিদ্যমান ট্যারিফ, প্যারা-ট্যারিফ এর মত বাধাসমূহ দূর করার উপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করেছি। আমরা ভারত থেকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছি।
পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বলেন, আপনারা জানেন যে বর্তমানে ভারতের সাথে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ খাতে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা ভারত হতে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সহযোগিতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আনার বিষয়েও ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রতি বছর পর্যটন এবং চিকিৎসা উপলক্ষে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ভারত সফর করে। তাদের ভিসাপ্রাপ্তি সহজীকরণসহ অন্যান্য কনস্যুলার ইস্যু সহজীকরণের জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। যেসকল বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের আদালতের দেওয়া সাজা বাংলাদেশে অথবা ভারতে ভোগ করছে, তাদের সাজা মওকুফের বিষয়ে ভারতের যথাযথ বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া, ভারতে আটক বাংলাদেশের জেলেদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।