themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121গ্রামীণ চেকের সাদামাটা পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ পোশাকেই তাঁকে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বড় বড় সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করার সময়ও বদলায় না তাঁর পোশাকের ধরন। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছিল পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। সেদিন ড. ইউনূস পরেছিলেন কালো কুর্তা। আর সে কুর্তা জোগাড় করতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে সেই কালো কুর্তার রহস্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি ড. ইউনূসের কালো কুর্তা পরিহিত দুটি ছবি শেয়ার দিয়ে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা তখন কাতারে ছিলাম। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। কাতারে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আমরা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর শুনতে পাই। আমাদের সফরের দ্বিতীয় দিনে শেষকৃত্যের তারিখ ঘোষণা করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের একজন মহান নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সমস্যা ছিল শেষকৃত্যে যোগ দিতে হলে কালো পোশাকের প্রয়োজন ছিল, বিশেষ করে কালো স্যুট। অধ্যাপক ইউনূস বহু দশক হলো স্যুট পরা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি যেখানেই যান না কেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ চেকে বোনা কুর্তা পরেন। আমরা জানতে পারি তাঁর একটি কালো কটি আছে, কিন্তু কোনো কালো কুর্তা নেই। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীরা দোহারের বেশ কয়েকটি বাজারে কালো কুর্তা খুঁজলেন। কিন্তু আমরা যেগুলো পেয়েছি সেগুলো খুব বেশি দামি ছিল। তাই আমরা সাধারণ বাজারে গিয়েছিলাম এমন কোনো দর্জির খোঁজে যারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কালো কুর্তা সেলাই করতে পারেন। কিন্তু এখানেও কপাল মন্দ। পরে আমরা এমন একটি দোকান খুঁজে পাই যেখানে উপমহাদেশের দর্জি ইউনূসকে চিনতেন। তিনি রেকর্ড সময়ের মধ্যে কালো কুর্তা তৈরি করতে রাজি হন। আর এতে আমাদের মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।’