themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঢাকার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির জানান, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
বাসভবনে প্রবেশের পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় ডা. জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার জার্নি করে এসেছেন। যারা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন, তাদের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বর্তমান সরকার ও প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাকে নিরাপদে বাসভবন পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, বিশেষ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রদানের জন্য কাতার সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বেগম জিয়া। কাতার সরকার শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই দেয়নি, বিমানের সম্পূর্ণ খরচ বহন করা থেকে শুরু করে ওষুধ ও নার্সসহ যাবতীয় চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করেছে। খালেদা জিয়ার বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতার কারণেই কাতার সরকার এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাহিদ হোসেন আরও জানান, আল্লাহর রহমতে খালেদা জিয়া সুস্থভাবে ফিরোজায় পৌঁছেছেন। তবে দীর্ঘ যাত্রার কারণে তিনি কিছুটা ক্লান্ত।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জনসভায় যোগ দেওয়ার মতো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে কোনো শূন্যতা নেই। অনেকে বলেছিল, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তারেক জিয়ার কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এক নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলতেন, ‘উনি এখনও যান না কেন?’ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, তিনি চলে গেছেন, কিন্তু দেশনেত্রী এখনও রয়ে গেছেন। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।
তিনি বলেন, যখনই জাতির প্রয়োজন হবে, খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দেবেন। পাশাপাশি, তারেক রহমানের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকরা তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে এবং ঘুমাতে বলেছেন। তিনি এখানে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি না করার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান। বাসার সামনে কোনো স্লোগান না দেওয়ার জন্যও তিনি অনুরোধ করেন।