themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘সরকারের সমালোচনা করলে তাদের তা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাদের সফল করার লক্ষ্যে আমরা সমালোচনা করি। এগুলো তাদের হজম করতে হবে। বাক স্বাধীনতার অধিকার দিতে হবে। কিন্তু সমালোচনা করলে পরবর্তীতে নেতাকর্মীদের অপমান করা হয়।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সমালোচনা করা যেত না। বাক স্বাধীনতা ছিল না। সমালোচনা করলেই জেল জুলুম করা হতো। তাদের শাসনামলে মানবাধিকার থাকেনি। ফেসবুকে লিখলে পুলিশ বাড়িতে এসে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। হামলা-মামলা, গুম-খুন ছিলো মুক্তমত দমনের হাতিয়ার।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল মানবাধিকার ফিরে পাওয়া। ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে, শহীদ হয়েছে। তাছাড়া এই আন্দোলনে বিএনপির লক্ষ্য ছিলো দেশের মানুষ যেন গণতন্ত্র ফিরে পায়। তাই আমাদের প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় স্থায়ী হওয়ার জন্য নির্বাচনের নামে ভোটাধিকার হরণ করেছে। ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গৃহবধূকে রাতের অন্ধকারে ঘরে প্রবেশ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এগুলো ছিলো তাদের নিত্যরূপ।’
তিনি বলেন, আমরা আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ব্যক্তিত্ব ধরে রাখবেন। আমরা তাকে সম্মান করি। সারা বিশ্বে তার সম্মানের মাত্রা অনেক উঁচু। ছাত্র-জনতা বিশ্বাস করে দুঃসময়ে তাকে চেয়ারে বসিয়েছে। আমরা চাইবো তিনি তার সঠিক প্রতিদান দেবেন।’