২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ৫০০ হালাল রেস্টুরেন্ট তৈরি করবে হংকং। হালাল খাবারকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে মুসলিম পর্যকটদের আগ্রহী করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ১৪২টি নিবন্ধিত হালাল রেস্টুরেন্ট আছে। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি কা-চিউয়ের সর্বশেষ ঘোষিত নীতিমালার আলোকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পর্যটক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মুসলিমদের উন্নত পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে পর্যটননির্ভর ব্যবসা প্রসারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন হালাল সনদধারী খাবার পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবং হোটেলসহ অন্যান্য ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নামাজের স্থান রাখার। হংকংয়ের লক্ষ্য হলো মুসলিম ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো উত্তমরূপে পূরণ করা এবং বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের গন্তব্য হিসেবে এর চাহিদা বৃদ্ধি করা।
‘দ্য ইনকরপোরেটেড ট্রাস্টিজ অব দ্য ইসলামিক কমিউনিটি ফান্ড অব হংকং’-এর চেয়ারম্যান সায়িদ উদ্দিন এই উদ্যোগের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের প্রধান নির্বাহীর বক্তব্যের পর অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট আমাদের কাছে হালাল সনদ সংগ্রহের জন্য আসবে।’ তাঁর প্রতিষ্ঠান হংকংয়ে হালাল সনদ প্রদান করে। যদিও সাধারণত এই পরিষেবা সরকারি প্রতিষ্ঠানই দিয়ে থাকে।
তবে হংকংয়ে এমন সরকারি প্রতিষ্ঠান না থাকায় তারাই সনদ প্রদান করে থাকে। সায়িদ উদ্দিন জানান, জন লি কা-চিউ বক্তব্য দেওয়ার পর নতুন কিছু আবেদন তারা পেয়েছেন। পর্যটন খাতে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হংকং এই খাতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে। করোনা মহামারির পর মুসলিম পর্যটকদের প্রতি হংকং মনোযোগী হয়েছে। কেননা ২০২৮ নাগাদ সারা বিশ্বে মুসলিম পর্যটকদের সংখ্যা ২৩০ মিলিয়নে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেহেতু মুসলিম পর্যটকরা তাদের খাবার ও ধর্মীয় চাহিদা পূরণের শর্তে ভ্রমণের গন্তব্য নির্ধারণ করে; তাই হংকং এটা সুযোগ হিসেবেই দেখছে। হালাল সনদ নিশ্চয়তা দেয় যে খাবারটি ইসলামী বিধান মেনে তৈরি করা হয়েছে। আর এটা মান্য করা একজন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। অবশ্য হালাল সনদ খাদ্য নয়, এমন পণ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেমন—ওষুধ। বর্তমানে হংকংয়ের সীমিতসংখ্যক হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও আন্তর্জাতিক হোটেল চেইনগুলোতে শুধু হালাল খাবার পরিবেশন করা হয়, যা মুসলিম পর্যটক আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট নয়।