themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে ২১ শিশুসহ ৩৭ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২১ শিশু, ১২ নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ শামলাপুরের ফিশিং ট্রলারের মাধ্যমে শতাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে স্থানীয়রা ৩৭ জনকে আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে। বাকি অন্তত ৬৩ জন পালিয়ে পাশের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দালালের মাধ্যমে নৌকায় মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, আরাকান আর্মি আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের ক্যাম্প তৈরি করতে বলেছিল। আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে, এতে অনেকেই মারা যাচ্ছে। তাই প্রাণে বাঁচতে নাফ নদীর তীরে আসি। সেখানে একটা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। আমাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা নিয়েছে দালালরা।
রোহিঙ্গা ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের ওপর বেশি জুলুম-নির্যাতন করতেছে আরাকান আর্মি। আমাদের সামনে অনেক মানুষকে ড্রোন দিয়ে হত্যা করছে। টাকাপয়সা, গয়না কেড়ে নিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে নাফ নদীর কিনারে এসে কান্না করলে একটি নৌকা আমাদের তুলে নিয়ে বাংলাদেশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমহাদ হোসেন খোকন বলেন, দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে এক দল রোহিঙ্গা নিয়ে আসে। পরে তাদের সমুদ্রের তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।