themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/notunalo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, আমার টিম এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা ক্রমাগত অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি।
বুধবার (২৮ আগস্ট) উপাচার্য তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
এ সময় উপাচার্য বলেন, সবার সঙ্গে ‘সমঝোতার ভিত্তিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় চালুর চেষ্টা অর্থাৎ আবাসিক হল থেকে শুরু করে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা আমাদের প্রথম লক্ষ্য।
উপাচার্য বলেন, আমরা এই মুহূর্তে একশ ভাগ নিখুঁত পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি না। যতটুকু পারি শুরু করব। স্মরণকালে এমন পরিস্থিতি কখনো তৈরি হয়নি। আমি সব মহলে কথা বলার চেষ্টা করছি। এটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়। এটি আমি খুব আন্তরিকভাবে মনে করি। আমার টিম এখনো পুরোপুরি কার্যভার নেননি। তাদের সহযোগিতার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। তাদের যুক্তিসংগত কিছু পরামর্শও আছে। কোনোটা ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত, কোনোটা অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। সবাই সাধারণভাবে যেসব সমস্যার কথা বলছেন সেসব সমাধানে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং খালি করা হয় হলগুলো। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হয়, তবে ফেরে না সচলাবস্থা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সবাই পদত্যাগ করেন। ১০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। এরপর বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও ডিনদের পদত্যাগের হিড়িকে প্রায় বন্ধ হয়ে যায় সকল কার্যক্রম।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এদিন বিকেলেই কর্মস্থলে যোগ দেন তিনি। দেশের ক্ষমতাবদল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক পরিবর্তন হলেও শিক্ষার্থীরা এখনও ক্লাসে ফেরেননি।